গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-বোমাবাজি, আহত ২
বরিশালের গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত একজনকে বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অন্যজনকে গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া। নির্বাচনে মনির হোসেন মিয়া জয়ী হন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। আগে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় হারিছুর রহমানের দখলে ছিল। গত ২৮ জুন নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন মিয়ার সমর্থকেরা কার্যালয়টির দখল নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হারিছুর রহমানের সমর্থক উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান মিয়ার নেতৃত্বে লোকজন গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে মহড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে মনির হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের ধাওয়া করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে চারটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যবসায়ী ও পথচারীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
মনির হোসেন মিয়ার সমর্থক যুবলীগের কর্মী হাবিব চোকদার (২৮) অভিযোগ করেন, ‘আমি একটি চায়ের দোকানে ছিলাম। তখন হারিছুর রহমানের সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা ইমরান মিয়ার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমার ওপর হামলা করে।’
এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান মিয়া বলেন, ‘আমিসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। তখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির মিয়ার সমর্থকেরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। তাঁরা একজনকে পিটিয়ে জখম করেছেন।’
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে গতকাল রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।