বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে আটক, বিজিবির সহায়তায় ফিরলেন বাড়িতে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আটক হন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা রূপচাঁদ মণ্ডল (৫২)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভারতে কর্মরত ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। রূপচাঁদ বিজিবিকে জানিয়েছেন, তাঁর মতো আরও সাতজন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন।
রূপচাঁদ দৌলতপুরের মহিষকুন্ডি গ্রামের মৃত মহসিন মণ্ডলের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার করিমপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার দিবাগত রাতে কুষ্টিয়ার বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ৪৭ বিজিবির অধীন রামকৃষ্ণপুর বিওপির এলাকার সীমান্ত পিলার ১৫৫ /এমপি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে ভারতের নদীয়ার করিমপুর এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে আটক করে বিএসএফ। আটকের সংবাদ বিজিবি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে ফেরত চেয়ে অনুরোধ করা হয়।
রূপচাঁদ বিজিবিকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে অবৈধভাবে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে যান। দীর্ঘদিন ভারতের কেরালা রাজ্যের কোচি শহরের এরনাকুলাম এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। এরপর ভারতের অভ্যন্তরে বিদ্যমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ৫ বছর পর বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় বিএসএফ তাঁকে আটক করে। বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে মারধর করায় তিনি পিঠ, হাত ও হাঁটুতে আঘাত পেয়েছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে রূপচাঁদ বিজিবিকে জানিয়েছেন, অবৈধভাবে ভারতের কেরালা থেকে বাংলাদেশ আসার সময় বাংলাদেশি আরও সাতজন ভারতের জলঙ্গী থানায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাঁদের সবার বাড়ি দৌলতপুর উপজেলায়। তাঁরা হলেন উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের ছাতার মণ্ডলের ছেলে স্বপন, শমসের মণ্ডলের ছেলে হামিদুল ইসলাম, জামসেদ বিশ্বাসের ছেলে জালাল উদ্দিন, ভাগজোত কাস্টম মোড় এলাকার মনিরুলের ছেলে রনি আহমেদ, জিন্দার আলীর ছেলে লিটন হোসেন, মোজাম হোসেনের ছেলে মাহবুবুল ও প্রাগপুর ইউনিয়নের জয়পুর এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে মহাম্মদ রতন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাঁদের দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।