কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনেছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ওরফে সোহান হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন হয়। এরপর সেখান থেকে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়।

কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, এসএসসি ১৯৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী, হাটিরপাড় টাউন ক্লাবের সদস্য, কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, কুড়িগ্রাম সেবা ক্লিনিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকাবাসীর যৌথ ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়।

আরও পড়ুন

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কুড়িগ্রামের পৌর মেয়র মো. কাজিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম ছানালাল বকশি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস, সুব্রতা রায়, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেদওয়ানুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াহিদুন্নবী সাগর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হোসেন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খাইরুল আনাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে নিহত শরিফুল ইসলামের চাচা মো. নুর ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাতিজা সোহানকে পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু দুষ্কৃতকারী হত্যা করেছে। ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাই।’

আরও পড়ুন

গত শুক্রবার বিকেলে জেলা সদরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় মোটরসাইকেল সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। নিহত শরিফুল জেলা শহরের ঘোষপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে। শরিফুল জেলা ট্রাকমালিক সমিতির সদস্য।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দুই ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা রেজভি কবির চৌধুরী ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে আটক করে। শুক্রবার রাতেই নিহত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৩) বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার অপর দুই আসামি ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান কবির ও সৌরভ। গত শনিবার বিকেলে রেজভি ও ঝিনুককে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আটক দুই ছাত্রলীগ নেতাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করে কোনো জবানবন্দি দেননি। মামলার অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।