বেনজীরের জব্দ করা সাভানা ইকোপার্ক পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক
ছবি: সাভানা রিসোর্টের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন জব্দ করা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক।

আজ সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে অবস্থিত পার্কটি পরিদর্শন করেন তিনি।

পার্ক পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর আদালতের স্পেশাল জজের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে যেসব পুকুর বা জলাশয়, ইকো রিসোর্টসহ যা কিছু আছে, সবকিছুই ক্রোক (জব্দ) করা হয়েছে। ৬ জুন গোপালগঞ্জ দুদকের উপপরিচালক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্রোকের আদেশ জারি করেন। সেই আদেশ অনুযায়ী, কৃষিজমি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গোপালগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এবং পুকুর ও জলাশয়গুলোর জন্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁকে (জেলা প্রশাসককে) সার্বিক সহযোগিতার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম আরও বলেন, তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে আজ পার্কটি দেখতে এসেছেন। যেহেতু তিনি জেলা প্রশাসক হিসেবে পার্কটির সার্বিক সহযোগিতার দায়িত্বে আছেন। আদালত এটা শুধু ক্রোকের আদেশই দেননি, সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই এখানে ঘুরে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে, সে বিষয়ে ধারণা নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, পার্কে পুকুর আছে, ফলের গাছ আছে, কটেজ আছে এবং বিভিন্ন রাইড আছে। এখন পরিকল্পনা করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কীভাবে রাজস্ব বৃদ্ধি করা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। যাতে রাজস্ব আয় হয়, সেই সঙ্গে মানুষের সুন্দর চিত্তবিনোদনের সুযোগ হয়।

পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফারহানা জাহান উপমা, গোপালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন, গোপালগঞ্জ দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সঞ্জয় কুন্ডু প্রমুখ।

আরও পড়ুন

২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা (দুর্নীতি দমন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী) জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ রিসোর্ট ও পার্কের সব জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের ভাষ্য, ভয় দেখিয়ে, জোর করে ও নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন