অটোরিকশাচালকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত

কুমিল্লা জেলার মানচিত্র

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই চালক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্বাস উদ্দিন নামের ওই শিক্ষার্থীর শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত হয়েছে। আজ রোববার নগরের কোটবাড়ি মোড়ের অটোরিকশা স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

আহত আব্বাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ মাইনুদ্দীন নামের এক অটোরিকশাচালককে আটক করেছে। তবে রবিউল নামের মূল অভিযুক্ত পলাতক।

এই ঘটনা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক কোটবাড়ি মোড় অবরোধ করেন। জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত অভিযুক্ত রবিউলকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী এক অটোরিকশাচালক বলেন, আব্বাস উদ্দিন নামের ওই শিক্ষার্থী রবিউলের অটোরিকশায় বসেছিলেন। রবিউল অটোরিকশা ছাড়তে দেরি করলে তিনি অন্য একটি অটোরিকশায় উঠতে যান। এতে রবিউল ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বাধা দেন এবং গালাগালি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাঁকে ধারালো কিছু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এ সময় আরেক অটোরিকশাচালক মাইনুদ্দীনও মারধরে যোগ দেন।

আহত আব্বাসকে প্রথমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, আব্বাসের শরীরের একাধিক স্থান ক্ষত হয়েছে। চোখে ও বুকের দুই পাশে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। চোখের আঘাতের কারণে মস্তিস্কেও সমস্যা হতে পারে। তবে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের আগে বলা যাচ্ছে না তিনি মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছেন কি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দীকী বলেন, তাঁরা ইতিমধ্যে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। যতদ্রুত সম্ভব তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে। নিরীহ শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেওয়া মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে হাতে দেওয়া। অপরাধী কেউ পার পাবে না।

এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, প্রক্টরের কাছ থেকে ঘটনা জানার পরেই অভিযুক্তের ছবি সংগ্রহ করে তাঁকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।