আওয়ামী লীগ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পাশাপাশি চলে না: হাবিব উন নবী খান

গাইবান্ধায় জেলা বিএনপির সমাবেশ বক্তব্য দিচ্ছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুল নবী খান। শনিবার দুপুরে শহরের সার্কুলার রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ১৯৭৩ সালে যখন বিরোধী দল বলতে কিছু ছিল না। তখনো আওয়ামী লীগ বিরোধীদের কোনো সিট দিতে চায়নি। আওয়ামী লীগ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পাশাপাশি চলে না।

শনিবার গাইবান্ধা শহরের সার্কুলার রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সমাবেশ এলাকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিল।

১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান, সদস্য আমিনুল ইসলাম, বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী প্রমুখ।

২০১৮ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে সমাবেশে হাবিব উন নবী খান বলেন, ২০১৮ সালে বড় চোরেরা রাত জেগে ছোট চোরদের দিয়ে ভোট চুরি করিয়েছেন। আবার তাঁরা রাত জাগা শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ কখনো বদলায় না। এ দেশে ভোট চুরির কালচার শুরুই করেছে আওয়ামী লীগ। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা আগের রাতে সিল মেরেছেন, তাঁরাই এখন বিএনপির নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করছেন।

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন দুটি নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু আপনাদের এই ১৪ বছরে ভূরি ভূরি বির্তকিত নির্বাচন করেছেন এবং করছেন। নির্বাচনকে একটি ভোট জালিয়াতির অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন।’

সমাবেশে বক্তারা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্দলীয়–নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছেন।

তাঁরা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেশে অশান্তির সৃষ্টি করেছে। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নস্যাৎ করতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। এ সরকার মুখে বলে গণতন্ত্রের কথা, কিন্তু বাস্তবে আলাদা। নির্বাচনের আগে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।