রোডমার্চে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের পথে রোডমার্চের সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে
ছবি: প্রথম আলো

রোডমার্চে যাওয়ার সময় ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিএনপির নেতা–কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল জব্বার মোড় ও কে আর মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর এক দফা দাবিতে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে দুপুরে বিএনপির রোডমার্চ শুরু হয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের সড়কগুলো দিয়ে যাওয়ার সময় মারধরের শিকার হন তাঁরা।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিএনপির রোডমার্চ প্রতিহত করার জন্য ক্যাম্পাসের সড়কগুলোতে আগে থেকেই অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। কাউকে বিএনপি সমর্থক সন্দেহ হলেই মারধর ও হেনস্তা করেন তাঁরা। মোটরসাইকেল দেখলেই থামানো হয়। মুঠোফোন তল্লাশি করা হয়। রোডমার্চ উপলক্ষে বিএনপি নেতা–কর্মীদের পরা গেঞ্জি, টুপি পুড়িয়ে দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় পথচারীরাও ভোগান্তির শিকার হন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রোডমার্চে থাকা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের একটি গাড়িবহর বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে প্রবেশ করলে হামলা চালান ওত পেতে থাকা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। এ সময় বহরের চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান শাওনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বহিরাগত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ এলাকায় এসে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা করেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের কেউ নন। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য আমরা তাঁদের কর্মকাণ্ড অবশ্যই প্রতিহত করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মোটরসাইকেল ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে শোডাউন ও স্লোগান দিতে থাকে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হন। পরে তারা (ছাত্রলীগ) বাধা প্রদান করে। অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পুলিশ ঘটনাস্থলগুলোতে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান।