পটিয়ায় সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভাতিজাকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মারা গেছেন চাচা ও ভাতিজা দুজনেই। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন উপজেলার বাথুয়া গ্রামের নাছির উদ্দীন চৌধুরী (৫২) ও তাঁর ভাতিজা আরিয়ান চৌধুরী (১৪)। আরিয়ান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে নাছির উদ্দীনের ছোট ভাই আইয়াছ উদ্দীন বাহারের ছেলে।
পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, চাকরি সূত্রে চট্টগ্রামের রাউজানে ভাড়া বাসায় থাকে আইয়াছ উদ্দীনের পরিবার। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে তাঁরা গ্রামে এসেছিলেন।
নাছির উদ্দীনের স্বজন শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাচা নাছির উদ্দীন ভাতিজা আরিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরে গোসল করতে যান। এ সময় তিনি আরিয়ানকে সাঁতার শেখাতে শেখাতে পুকুরের মাঝখানে চলে যান। দুজনই সাঁতার জানতেন না। একপর্যায়ে তাঁরা পানিতে তলিয়ে যান।
এরপর দীর্ঘ সময় ঘরে না ফেরায় স্বজনেরা তাঁদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজনসহ স্বজনেরা পুকুরে নেমে তাঁদের খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জুয়েল কান্তি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, পুকুরে সাঁতার শেখানোর সময় চাচা-ভাতিজা দুজনই ডুবে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুজনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়।’