রিমান্ড শেষে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলায় ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তানভীর আহমেদ এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন জাকিরুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন, ফজলু মিয়া, শহিদুর রহমান, মো. মুকবুল ও মো. ওহিদুজ্জামান। তাঁদের সবার বাড়ি বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ব্যক্তিদের সাংবাদিক রব্বানি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখি গত শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে নয়জনকে আদালতে পাঠান। র্যাবের অভিযানে আটক ব্যক্তিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত রোববার দুপুরে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আরও চারজনকে আদালতে পাঠান। রোববার দুপুরে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তানভীর আহমেদ বিভিন্ন মেয়াতে ওই ১৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ওই ১৩ জনের মধ্যে আজ যেসব আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছিল। তিন দিনের রিমান্ড শেষে ওই ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ওই বিচারক ওই ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ওই ছয় আসামিকে ডিবি আদালতে হাজির করেছিল। তাঁরা সবাই তিন দিনের রিমান্ডে ছিলেন। আদালতে ডিবি ওই আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথাও জানিয়েছে। তাঁদের সবাইকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
১৪ জুন রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন জামালপুরের বকশীগঞ্জের সাংবাদিক রব্বানি। পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় মাহমুদুলের নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা করে একদল সস্ত্রাসী। এ সময় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও বেদম মারধর করা হয়। হামলার সময় মাহমুদুলের ছেলে ফাহিম ফয়সাল রব্বানির মাথায় আঘাত করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরের দিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
রব্বানি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সাংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।