নড়িয়াতে বাসের কাউন্টার দখল নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুর জেলার মানচিত্র

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টার দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

শনিবার দুপুরে নড়িয়ার মোক্তারের চর ইউনিয়নের পাঠানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌকিদার, নড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা মামুন মোস্তফা এবং তাঁদের সমর্থক মাহবুব আলমকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের নড়িয়া থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে।

নড়িয়া থানার পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা-নড়িয়া পথে চলাচল করা বাসগুলো উপজেলা সদরের কীর্তিনাশা নদীর পশ্চিম তীরে পাঠানবাড়ি এলাকায় দাঁড়ায়। সড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে এ বাসস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। সেখানে যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ করার জন্য তিনটি কোম্পানির কাউন্টার আছে। এর মধ্যে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের কাউন্টার দখল নিয়ে এ ঝামেলা হয়েছে।

কাউন্টার পরিচালনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌকিদার ও ওই ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জবেদ আলী শেখের দ্বন্দ্ব চলছে। বর্তমানে জবেদ কাউন্টারটি পরিচালনা করছেন। শনিবার দুপুরে কাউন্টার দখল নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকেরা একে অপরকে ধাওয়া করেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের নড়িয়া কাউন্টারের তত্ত্বাবধায়ক শাহিন মিয়া বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের মতো যাত্রীদের সেবা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দুপুরের দিকে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। দুই দিকে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। তখন যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ককটেল বিস্ফোরণে সুপার সার্ভিসের স্টাফ জুয়েলসহ আটজন আহত হয়েছেন।’

ইউপি সদস্য জবেদ আলী শেখ বলেন, দুপুরে শাহ আলম চৌকিদার ও মোস্তফা শিকদার লোকজন নিয়ে এসে তাঁদের ওপর হামলা চালান। তবে এ বিষয়ে আটক শাহ আলম চৌকিদার ও মামুন মোস্তফা কোনো কথা বলেননি।

শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, নড়িয়ায় বাসস্ট্যান্ড পরিচালনা করা নিয়ে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছেন। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা পুলিশকে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।