ঝিনাইগাতীতে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে বন্য হাতির আক্রমণে আরও একজনের মৃত্যু
দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বাঁকাকুড়া শালবনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম এফিলিস মারাক (৪৫)। তিনি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বড় গজনী গ্রামের সোহান মারাকের ছেলে। একই রাতে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গজনী পাহাড়ের টিলায় ৩-৪ দিন ২০-৩০টি বন্য হাতি দল বেঁধে অবস্থান করছিল। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে এফিলিস মারাক তাঁর তিন বন্ধুকে নিয়ে বাঁকাকুড়া গ্রাম থেকে হেঁটে বড়গজনী এলাকায় বাড়ি ফিরছিল। এ সময় বাঁকাকুড়া শালবনে রাস্তা ধরে এগোতে থাকলে বন্য হাতির একটি দল তাঁদের তাড়া করে। তিন বন্ধু দৌড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গেলেও এফিলিসকে হাতি শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে ওপর দিকে ছুড়ে মারে। পরে মাটিতে পড়ে গেলে হাতির পায়ে পিষ্ট করে এফিলিসের শরীরের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ঘটনাস্থলেই এফিলিস মারাকের মৃত্যু হয়। বন্য হাতির ভয়ে গতকাল রাতে কেউ লাশ উদ্ধার করতে যাননি।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল করিম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গজনী জঙ্গলে ২০-৩০টি বন্য হাতি তিন দিন ধরে অবস্থান করছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাতির আক্রমণে এফিলিস মারাক নামের আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় হাতির দল অবস্থান করায় রাতে লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আজ বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বন বিভাগের লোকজনের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।