দূরপাল্লার বাস সড়কের ওপর রেখে যাত্রী ওঠানামা করে যানজট তৈরি করায় কয়েকটি বাসকে জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনালের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

বগুড়া শহরের সড়কের ওপর দূরপাল্লার কোচ দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামার মাধ্যমে যানজট তৈরির অভিযোগে জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ। এর প্রতিবাদে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মোটরশ্রমিকেরা।

আজ শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটা থেকে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত শহরের ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনালের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় সাতমাথা-বনানী সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

ট্রাফিক পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বগুড়ায় দূরপাল্লার কোচগুলোর জন্য স্থায়ী কোনো টার্মিনাল নেই। ব্যক্তিমালিকানাধীন সামান্য জায়গায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দূরপাল্লার চলাচল করা বাসগুলো রাখা হয়। জায়গা-সংকুলান না হওয়ায় শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশে গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে কাউন্টার থেকে যাত্রী ওঠানামার কাজ করে পরিবহনগুলো। আজ সন্ধ্যায় সড়কের ওপর গাড়ি রেখে যাত্রী ওঠানামার কাজ করছিল ইউনাইটেড পরিবহন নামের একটি দূরপাল্লার কোচ। এতে যান চলাচলে সমস্যা হওয়ায় যানজট তৈরির অভিযোগে ওই পরিবহনকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ। এ ছাড়া আরও দুটি পরিবহনকে জরিমানা করা হয়।

জরিমানা করা ওই বাসের চালক আল-আমিন বলেন, ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনালের সামনে আমার বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করায় ট্রাফিক পুলিশ কিছু টাকা জরিমানা করেছে।

ঠনঠনিয়া দূরপাল্লার কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আকতারুজ্জামান বলেন, রাস্তায় যানজট সৃষ্টির অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশ তিনটি বাসে মামলা ও একটি বাস জব্দ করে। এর প্রতিবাদে দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ আসার পর সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মাহবুবুল ইসলাম খান বলেন, সড়কের ওপর দূরপাল্লার গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলছিল। এতে সড়কে যানজট তৈরি হয়। বাধ্য হয়ে ট্রাফিক আইনে মামলা ও জরিমানা করা হয়।