সিলেটে ছাত্রদলের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আতঙ্ক

বিএনপির অবরোধের সমর্থনে সিলেট নগরের বারুতখানা ও জেল রোড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রোববার বেলা দুইটার দিকে
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পথচারী ও ব্যবসায়ীরা দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করেন। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে সিলেট নগরের বারুতখানা জেল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বেলা দুইটার দিকে সিলেট নগরের বারুতখানা এলাকায় কয়েকজন যুবক একত্র হন। পরে বারুতখানা এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে জেল রোডের দিকে এগোতে থাকেন। এ সময় মিছিলে থাকা নেতা–কর্মীরা বিএনপির ডাকা সপ্তম দফা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি জেল রোড পেরিয়ে বারুতখানা-নাইওয়রপুল সড়কের জেল রোড এলাকায় পৌঁছালে নেতা–কর্মীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে যান। এর আগে বারুতখানা থেকে জেল রোড এলাকার দিকে যাওয়ার পথে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়।

মিছিলটিতে সিলেট নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি, জেলার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ইসলামসহ একাধিক পদধারী নেতা ছিলেন।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বারুতখানা ও জেল রোড এলাকায় ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এ সময় পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ ছাড়া সড়কে চলাচল করা রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা ও অন্যান্য যানবাহন জেল রোড সড়কের দিকে না গিয়ে ঘুরিয়ে অন্যদিকে চলে যায়।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, মিছিল কিংবা এ ধরনের কোনো তথ্য তিনি পাননি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির সপ্তম ধাপের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন সিলেটে আজ সকালে যানবাহন চলাচল কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে। কর্মচাঞ্চল্যও দেখা গেছে নগরের অভ্যন্তরে।

সিলেট জেলার কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জানিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। জুলুম–নিপীড়ন সহ্য করেই তাঁরা মাঠে অবস্থান করছেন। এ আন্দোলনে জনগণ পাশে রয়েছে। আন্দোলন সফল করেই তাঁরা ঘরে ফিরবেন।