রামদা হাতে ইউপি সদস্যের দিকে চেয়ারম্যানের তেড়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

রামদা উঁচিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ি
ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দড়িরচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রামদা নিয়ে ইউপি সদস্যের দিকে তেড়ে যাওয়ার দৃশ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল শুক্রবার সকালের দড়িরচর-খাজুরিয়া ইউনিয়নের স্টিমারঘাট বাজার এলাকায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ি বড় একটি রামদা হাতে নিয়ে ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু দেওয়ানের দিকে তেড়ে যান। এ সময় কয়েকজন চেয়ারম্যানকে ধারালো অস্ত্রসহ জাপটে ধরেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ির বিরুদ্ধে সম্প্রতি ইউপি সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। এ ঘটনার জেরে গতকাল সকালে স্টিমারঘাট বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ির সঙ্গে ইউপি সদস্য বাচ্চুর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি উত্তেজিত হয়ে একটি বড় রামদা হাতে নিয়ে ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু দেওয়ানের দিকে তেড়ে যান। এ সময় দু-তিনজন তাঁকে ধরে নিবৃত্ত করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান রামদা নিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন
ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে মো. বাচ্চু দেওয়ান বলেন, চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ১৫ দিন আগে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ইউপি সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব করেছেন। আজ শনিবার তাঁরা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ জন্য চেয়ারম্যান মোস্তফা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গতকাল সকাল ৭টার দিকে বাড়ির পাশের স্টিমারঘাট বাজারে চা পান করতে যান। এ সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন চেয়ারম্যান মোস্তফা। তিনি তাঁকে দেখেই গালাগাল শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হলে চেয়ারম্যান দৌড়ে গিয়ে বাড়ি থেকে একটি বড় রামদা নিয়ে বাজারের মাঠে তাঁকে কোপাতে তেড়ে আসেন। এ সময় তাঁর দুই ছেলে রামদাসহ চেয়ারম্যানকে জাপটে ধরলে রামদা ফেলে সটকে পড়েন তিনি।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ি বলেন, গতকাল সকালে বাজারের মাঠে বসে বাচ্চু দেওয়ানকে মারধর করেছেন। রামদা হাতে তেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই রামদা তাঁর নয়, ইউপি সদস্য বাচ্চুর। অবৈধ জাল পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে তিনি (বাচ্চু) এই হামলার শিকার হয়েছেন।

মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, রামদা হাতে তেড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।