কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মো. আরজু মোল্লা (৩৮) নামের এক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বুধবার সকালে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে র্যাব-৪-এর মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার আরজু মোল্লা রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার দেওয়ালী গ্রামের খোরশেদ মোল্লার ছেলে। গত ৬ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর কারাগার থেকে অন্যান্য আসামির সঙ্গে তিনি পালিয়ে যান।
র্যাবের মানিকগঞ্জ ক্যাম্প সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার দেওয়ালী গ্রামে গাছের ডাল ভাঙা নিয়ে প্রতিবেশী জব্বার মোল্লার সঙ্গে আরজু মোল্লার ঝগড়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আরজুর বাড়িতে সালিস বৈঠকে মারধরের বিষয়টি মীমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সালিস বৈঠকে জব্বার ও তাঁর স্বজনেরা আসার পরপরই আরজু ও তাঁর সহযোগীরা হামলা করেন। এতে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জব্বার ও তাঁর কয়েকজন স্বজন মারাত্মক জখম হন। এরপর আরজুসহ হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত জব্বারসহ আহত অন্যদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। ওই দিন রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জব্বার মারা যান।
এ ঘটনায় জব্বরের ছেলে বাদী হয়ে কালুখালী থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরজুকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালত আরজুকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এ বছর ৬ আগস্ট কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি পালিয়ে যান।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আজ সকাল ১০টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।