থানা-পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালে শেখ ফারুকের বিরুদ্ধে তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ ও চেক প্রতারণার অভিযোগে ফেনীর আদালতে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে তিনি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত শেখ ফারুককে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। তাঁর বিরুদ্ধে চেক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন।

সোনাগাজী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জুয়েল সরকার বলেন, ফেনীর আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর শেখ ফারুকের খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু তিনি বিদেশে থাকায় তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ১০-১৫ দিন আগে তিনি বিদেশ থেকে দেশে আসেন। তাঁকে ধরতে পুলিশ ছদ্মবেশে তাঁর গ্রামের বাড়ি ও সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। তাঁর মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করা হয়। সেই নম্বরের সূত্র ধরে পৌরসভার চর গণেশ এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের মাধ্যমে শেখ ফারুককে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হবে।