দুর্গাপুরে পুলিশের বাধার মুখে বিএনপির নেতা-কর্মীরা, আটক ৪

আটক
প্রতীকী ছবি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং বিএনপির চার নেতাকে আটক করে। আজ রোববার সকালে দুর্গাপুর পৌর শহরের কাচারী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটক চার নেতা হলেন—দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন আবু চান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক ও গাঁওকান্দিদয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম।

স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও বিএনপি সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টার দিকে দুর্গাপুর পৌর শহরের ধান মহাল এলাকায় শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাচারী মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে নেতা-কর্মীরা শহীদ বেদির উদ্দেশে রওনা হলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। উত্তেজিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ চারটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হোসেনসহ চার নেতাকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ কখনো বিএনপিকে শ্রদ্ধা জানাতে বাধা দেয়নি। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং বিএনপির লোকজন তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়ে সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়েন নেতা–কর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চারটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে। আর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দলীয় নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে রওনা হন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়ে গুলি ছুড়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। সেই সঙ্গে বিএনপির চারজনকে আটক করে। এর মাধ্যমে পুলিশ সম্পূর্ণভাবে অপেশাদার কাজ করেছে। এর আগে একুশে ফেব্রুয়ারিতে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। সরকার বিএনপিকে দমন করতে এখন রাষ্ট্রযন্ত্র পুলিশকে ব্যবহার করছে। কিন্তু এভাবে বিএনপিকে দমন করা যাবে না।