পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এক নারীকে (৪২) তাঁর সাবেক স্বামী ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুধারাম থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মোজাম্মেল হোসেন ওরফে মিলন (৫০)। তাঁর বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে।

ওই নারীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিনি সৌদি আরব থাকতেন। সেখানে মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মোজাম্মেল তাঁকে সেখানে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁর কাছ থেকে মোজাম্মেল প্রায় ১০ লাখ টাকা ধার নেন। এরপর কিছু টাকা ফেরত দেন। এরই মধ্যে ওই দেশেই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। একপর্যায়ে মোজাম্মেল দেশে ফিরে আসেন। পরে তিনিও (ওই নারী) দেশে ফিরে আসেন।

ওই নারীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, গতকাল বিকেলে তিনি ঢাকা থেকে নোয়াখালী সদর উপজেলায় মোজাম্মেলের কাছে যান। তখন মোজাম্মেল তাঁকে টাকা দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় খলিপারহাট এলাকার একটি গ্যারেজে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে দিলে তিনি সোনাইমুড়ী পর্যন্ত গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশের মাধ্যমে তিনি সুধারাম থানায় আসেন এবং নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোজাম্মেল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, সাবেক স্বামীর সঙ্গে এক নারীর ঝগড়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ডের প্রক্রিয়া এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।