ভোটের অধিকার রক্ষার এই যুদ্ধে হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ

তারুণ্যের রোডমার্চ উপলক্ষে বগুড়ার আদমদীঘির গোহাট চত্বরে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোটের অধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র মুক্তির যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে হেরে গেলে বিএনপির খুব বেশি ক্ষতি হবে না। এই যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। এই যুদ্ধে হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ। বগুড়া থেকে রাজশাহী বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ আজ রোববার বেলা দুইটায় নওগাঁর জেলখানা রোড মোড়ে পৌঁছালে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যে সরকারের অধীন নির্বাচনে গেলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয়ে যায়, সেই সরকারের অধীন নির্বাচনে যাওয়া যায় না। শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রকামী সব জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট চায়।’

সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারুণ্যের রোডমার্চের লক্ষ্য তরুণ-যুবসমাজকে জাগিয়ে তোলা এবং সরকার হটানোর চূড়ান্ত আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা। ২০১৪ সালের আগে ভোটার হয়েছেন—এমন লাখ লাখ তরুণ ভোট দিতে পারেনি। এই তরুণরা উন্মুখ হয়ে আছে। লাখ লাখ তরুণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই রোডমার্চ। আগামী দিনে যেসব আন্দোলন কর্মসূচির ডাক আসছে, সেসব আন্দোলনে সাধারণ জনগণের সঙ্গে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই লড়াই গণতন্ত্র ফিরিয়ে পাওয়ার লড়াই। এই লড়াই জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।

পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু)। এ সময় নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসমবায়বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, মামুনুর রহমান প্রমুখ।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর এইবার বাংলাদেশের জনগণের সামনে আরেকটি বড় যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতেই হবে। বাংলাদেশের জনগণ কখনো হারেনি, এবারেও হারবে না। এবারের বাংলাদেশের মানুষ তাদের মালিকানা ফিরিয়ে নিতে চায়। পাকিস্তানি দখলদারদের বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে পরাজিত করেছে, এই দখলদারদেরও তারা পরাজিত করবে।

বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চটি যাওয়ার পথে নওগাঁর সান্তাহার রোড, বাইপাস ব্রিজ, আবদুল জলিল চত্বর, মহাদেবপুরের নওহাটা মোড় ও মান্দার ফেরিঘাটে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে বহরে থাকা নেতা–কর্মীদের স্বাগত জানান। তাঁদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন।