সদরঘাটে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৭ এপ্রিল

রাজধানী ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল
ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলে নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অগ্রিম কেবিন বুকিংয়ের কার্যক্রম শুরু হবে ১৭ এপ্রিল থেকে। এ বছর ঈদে যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ার আশঙ্কায় দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে গত বছরের চেয়ে ২২টি লঞ্চ কম চলাচল করবে। তবে ইতিমধ্যে সদরঘাট টার্মিনালে এসে অগ্রিম টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন নৌপথের অনেক যাত্রী।

এ বিষয়ে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক কবির হোসেন বলেন, লঞ্চ মালিকদের দেওয়া তথ্যমতে, ১৭ এপ্রিল থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। গত ঈদ মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ৬৮টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলাচল করত। তবে যাত্রী কমে যাওয়ায় এ বছর ৪৬টি লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীর চাপের ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজধানীর খিলগাঁও থেকে সদরঘাটে আগাম টিকিট কিনতে এসেছিলেন হাফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি বরিশাল। ১৯ এপ্রিল বাড়িতে যাব। লঞ্চের আগাম কেবিন বুকিংয়ের জন্য এসেছি। কিন্তু এসে দেখি কাউন্টার বন্ধ। পরবর্তী সময়ে লঞ্চের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবেন তাঁরা। অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে সুষ্পষ্ট বার্তা পেলে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হতো না।’

লঞ্চ নিয়ে যাত্রীদের আগ্রহ আগের মতো নেই জানিয়ে পটুয়াখালীগামী এমভি প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের কর্মচারী কালাম মিয়া বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ঈদে নৌপথে যাত্রীদের যাতায়াতের ইচ্ছা কমে গেছে। তাই অগ্রিম টিকিটের চাহিদা বেশি নেই। মাঝেমধ্যে যাত্রীরা এসে অগ্রিম টিকিটের খোঁজ করছেন। তবে আগের চিরচেনা রূপ আর নেই।

আগাম টিকিট বুকিং প্রসঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ঢাকা নদী বন্দরের আহ্বায়ক মামুন আল রশিদ বলেন, ১৭ এপ্রিল সকাল থেকে লঞ্চের কেবিনের আগাম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হবে। যাত্রীরা লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টার থেকে তাঁদের গন্তব্যের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত কেবিন খালি থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালু থাকবে।