মরদেহ ডুবে ছিল নদে, মোটরসাইকেল পড়ে ছিল পাড়ে, বন্ধুরা কেউ ছিলেন না

মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

প্রতিবেশী দুই বন্ধুর সঙ্গে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এক মোটরসাইকেলে করে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন গাড়িচালক শরীফ হোসেন। কথা ছিল বাসায়ও ফিরবেন একসঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ পাল্টে গেল দৃশ্যপট। একদিন পর আজ মঙ্গলবার তুরাগ নদে পাওয়া যায় শরীফের লাশ। তাঁর মোটরসাইকেল পড়ে ছিল নদের পাড়। আর সঙ্গে থাকা বন্ধুরা ছিলেন পলাতক।

শরীফ হোসেনের বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদ নগরের ২ নম্বর ব্লকে। তিনি অ্যাপে রাইড শেয়ার করতেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সোহাগ ও কাজলের সঙ্গে বাসা থেকে বের হন তিনি। এরপর আজ বিকেলে গাজীপুরের গাছা থানার পলাশোনা এলাকায় তুরাগ নদ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পলাতক সোহাগ ও কাজল।

গাছা থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে সোহাগ ও কাজল বাসায় ফিরলেও শরীফের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে আজ সকালে টঙ্গী পূর্ব থানায় ওই দুজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন শরীফের বাবা ফারুক মিয়া। এদিকে পলাশোনা এলাকায় তুরাগ নদের পাড়ে একটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকার খবর আসে। পরবর্তী সময়ে এটি শরীফের মোটরসাইকেল নিশ্চিত হয়ে একটি ডুবুরি দল নিয়ে তুরাগ নদে তল্লাশি চালানো হয়। একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নদের পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় শরীফের মরদেহ পাওয়া যায়।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে গাছা থানার উপপরিদর্শক পাপন হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় পাড়ে বাইক রেখে তুরাগ নদ পার হন শরীফ, সোহাগ ও কাজল। এর মধ্যে রাত ১০টা বা তার কিছু পরে নদ পার হয় শুধু সোহাগ ও কাজল। এ সময় তাঁদের কথা ও চলাফেরায় তাড়াহুড়া দেখা যায়। এ সময় কী হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে চাইলে একপ্রকার দৌড়ে পালায় তাঁরা। পরে আজ বিকেলে শরীফের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শরীফের গায়ে ছোট কাটার দাগ রয়েছে। নাক থেকেও প্রচুর রক্ত বেরিয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’

শরীফের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, ‘তাঁরা (সোহাগ ও কাজল) আমার ছেলেকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার ছেলেকে মেরে নদীতে ফেলে দিছে। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোহাগ ও কাজলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।