হয়রানি এড়াতে আগেই ঢাকায় চলে গেছেন রাজশাহীর বিএনপির নেতা-কর্মীরা
রাজশাহী থেকে ৩ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। দলীয় নেতারা বলেন, ইতিমধ্যে অনেকেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। যাত্রাপথে বাধা দেওয়ার কোনো অভিযোগ পাননি তাঁরা। এ ছাড়া হয়রানি এড়াতে ২২ জুলাইয়ের তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের অনেকে ঢাকাতেই রয়ে গেছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, তাঁদের প্রায় ৩ হাজারের মতো নেতা-কর্মী ঢাকায় আসবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিতে রাজশাহীর নেতা-কর্মীরা গত ২৪ জুলাই থেকে যাওয়া শুরু করেছেন। নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ উদ্যোগে ট্রেন, বাস ও মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় গেছেন। বুধবার রাতেও নেতা-কর্মীরা রওনা দেবেন। এর আগে দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার সময় অনেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন। ফলে এবার তাঁরা আগেভাগেই চলে গেছেন।
সূত্রটি আরও জানায়, ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২২ জুলাই ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসমাবেশের ডাক দেন। ফলে তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে যারা ঢাকায় গিয়েছিলেন, তাঁরা আর রাজশাহীতে ফেরত আসেননি। এ রকম নেতা-কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৩০০।
রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, যুবদলের পক্ষ থেকে ২২ জুলাইয়ের সমাবেশে ৪০০ বেশি নেতা-কর্মী ঢাকায় এসেছিলেন। মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণার পর ২৫০ জন নেতা-কর্মী ঢাকাতেই ছিলেন। আরও নেতা-কর্মী রাজশাহী থেকে বুধবার রাতের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
বিএনপির নেতারা বলেন, রাজশাহী থেকে পরিবহন ধর্মঘট হতে পারে কিংবা পথে পথে পুলিশ হয়রানি করতে পারে—এই আশঙ্কায় সোমবার থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাওয়া শুরু করেছেন। তাঁরা বিশেষ কোনো বাস ভাড়া করেননি। বেশির ভাগ নেতা-কর্মী ট্রেনে গিয়েছেন।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী বলেন, তাঁরা গতকাল মঙ্গলবারের রাতের ট্রেনে ঢাকায় গেছেন। তবে তাঁরা ঢাকায় কোনো হোটেলে উঠতে পারেননি। ফলে তাঁরা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আছেন। রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় আসবেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী বলেন, তিনিসহ মহানগরের কয়েকজন নেতা একটি মাইক্রোবাসে করে সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেছেন। পথে কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি। রাজশাহী মহানগর থেকে এক থেকে দেড় হাজারের মতো নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন। তবে এই সংখ্যা বাড়তেও পারে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও অনেকে আসবেন।