পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে
ছবি: রাজিউর রহমান

পঞ্চগড় শহরের পাশে আহম্মদ নগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় শাখাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে তেঁতুলিয়া-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় সর্বশেষ বেলা তিনটা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলছিল। দাবির পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন।

পুলিশ ও সংগঠনগুলো সূত্রে জানা যায়, আহম্মদ নগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের আগামী শুক্র, শনি ও রোববার সালানা জলসার আয়োজন করা হয়েছে। এ জলসা বন্ধ ঘোষণার দাবিতে আজ বেলা ১১টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলদেশের পঞ্চগড় শাখা, সম্মিলিত খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদ, ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি, ইমাম-মোয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতি, পঞ্চগড় কওমি ওলামা পরিষদ ও জাতীয় ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের শত শত লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো বাঁশ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন পঞ্চগড় জেলা সম্মিলিত খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি মুফতি আ ন ম আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।

রংপুরের তারাগঞ্জ থেকে পিকনিকে আসা তারাগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ইমরান হাসান বলে, ‘আমরা প্রায় আড়াই শ শিক্ষার্থী তেঁতুলিয়ায় পিকনিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখানে সড়ক অবরোধের কারণে দুই ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে আছি। আজকে মনে হয়, আমাদের পিকনিকে যাওয়া হবে না।’

শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে শহরে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন আনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাকে নিয়ে হেঁটে যেতে কষ্ট হচ্ছে। শহরে কেনাকাটা করতে এসে বিপদে পড়েছি।’

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ মিঞা বলেন, আন্দোলনের বিষয়টি তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।