পাবনায় সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৭১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
পাবনার ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য গালিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের ৭১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা যুবদলের কর্মী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার হননি।
মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন ঈশ্বরদী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর সালাম খান, লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিস উর রহমান, ঈশ্বরদী পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি আলাউদ্দিন ও পৌরসভা ছাত্রলীগ সভাপতি আবির হাসান।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাঠে নামেন। তাঁরা ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়কে এবং পৌর শহরের পশ্চিম টেংরি কাচারিপাড়া ঈদগাহ এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রতিহত করতে উপজেলা সদরের রেলগেট এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জমায়েত হতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পশ্চিম টেংরি কাচারিপাড়া ঈদগাহ ময়দানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম ও যুবদলের কর্মী নজরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন।
মামলার বাদী নজরুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শহরের অস্ত্রের মহড়া দিয়েছেন, গুলি ছুড়েছেন। এতে অনেক প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। সবাই দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন। তাই মামলাটি করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।