ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় যুবদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বাধা দিতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত হোসেন বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলাটি করেন।

এতে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার প্রথম আলোকে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামসহ (৪৮) চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সদরপুরের কৃষ্ণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে সদরপুর সরকারি কলেজের সামনে একটি টায়ারে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

পুলিশের দাবি, সদরপুর সরকারি কলেজের সামনে টায়ার জ্বলতে দেখে বাধা দিতে গেলে যুবদলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এসআই মো. শওকত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফায়েকুজ্জামান ও দুজন কনস্টেবল আহত হন।

তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে টায়ারের আগুন নেভান। সেখানে যুবদল ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ওই জায়গা সন্ধ্যার পর নির্জন থাকে। শুক্রবার হওয়ায় ওই এলাকায় লোকজনের চলাচল ছিল না বললেই চলে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী বদরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, যুবদল নেতাকে আটকের পর টায়ারে আগুন দেওয়া, সড়ক অবরোধ, পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজানো হয়েছে। সারা দেশেই পুলিশ এমন নাটক সাজাচ্ছে। ঢাকার গণসমাবেশে যাতে বিএনপির লোকজন যেতে না পারেন, সে জন্য এসব করা হচ্ছে।