ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অল্পের জন্য দুটি ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। বেলা তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দেয়। এ ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল চট্টগ্রামবাহী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন। একই লাইনে চট্টগ্রামে যাচ্ছিল একটি কনটেইনারবাহী ট্রেন। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ানো দেখে কনটেইনারবাহী ট্রেনের চালক ব্রেক কষে ট্রেন থামান। কর্ণফুলী ট্রেন থেকে প্রায় ২ গজ দূরে পেছনের ট্রেনটি থামে। অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি।
তখন মালবাহী ট্রেন ও স্টেশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ওই লাইনে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং উপজেলার আজমপুর স্টেশনে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা আটকা পড়ে।
কনটেইনারবাহী ট্রেনের সহকারী চালক আবু তালহা বলেন, সিগন্যাল পেয়েই তাঁরা আখাউড়ায় প্রবেশ করছিলেন। এ সময় সামনে ট্রেন দেখে থামিয়ে ফেলেন। কিন্তু কেবিন থেকে বলা হচ্ছিল কোনো কাগুজে নির্দেশনা ছাড়াই ট্রেন পেছনে নিতে। মালবাহী ট্রেনের কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দেয়নি। একই ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) শফিকুল ইসলাম বলেন, সামনে ট্রেন দেখে জরুরি ব্রেক কষা হয়।
পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে জানিয়ে স্টেশনের কেবিন মাস্টার খায়রুল ইসলাম বলেন, মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অতিক্রম করেছিল। ট্রেনটি পিছিয়ে নিয়ে অন্য প্ল্যাটফর্মে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা পেছনে নিচ্ছিলেন না। পরে এ বিষয়ে কাগজের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হলে কনটেইনারবাহী ট্রেনটি সরিয়ে অন্য প্ল্যাটফর্মে নিয়ে রাখা হয়। বিকেল সাড়ে চারটায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। যত দূর জানতে পেরেছি, মুখোমুখি কোনো সংঘর্ষ হয়নি, অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে।’