ছদ্মবেশে স্টেশনে দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান, চারজনকে কারাদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

পরিচয় গোপন করে ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে যান দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কাউন্টারের বাইরে বেশি মূল্যে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করতে দেখতে পান তাঁরা। এ সময় রেলওয়ের এক নিরাপত্তাকর্মী, এক কাউন্টার কর্মীসহ চারজন টিকিট কালোবাজারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হাসেন যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাসিন্দা ও রেলওয়ের নিরাপত্তাকর্মী (আরএনবি) বিপ্লব চন্দ্র দাস (৩১), জেলা শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা ও বেসরকারি ট্রেনের কাউন্টার কর্মী মো. সালাউদ্দিন (২৯), জেলা শহরের পুনিয়াউটের বাসিন্দা আয়েশা বেগম (২৯) ও একই এলাকার আরাফাত হোসেন (২৬)। তাঁদের মধ্যে বিপ্লব চন্দ্র দাস ও সালাউদ্দিনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং আয়েশা ও আরাফাতকে চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারির যন্ত্রণায় যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় বলে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় বিষয়টি নিয়ে নাগরিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলাম। আজ দুপুরে এক সংবাদের ভিত্তিতে রেলস্টেশনে দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত চারজনকে কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে নিয়মিত টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হাসেন।