তিতাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযানের সময় ইয়াবা, হেরোইনসহ দেবর-ভাবি গ্রেপ্তার

ইয়াবা
ফাইল ছবি

তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। এ সময়ে একটি বাসা থেকে ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি ও ৫০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ভাবি ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ব্রাহ্মণবয়ড়া গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে মানিক হোসেন (২৭) ও তাঁর ভাবি সুমাইয়া রহমান ওরফে স্বর্ণা (২৪)। ঘটনার পর থেকে মানিকের বড় ভাই আলিফ হোসেন পলাতক। তাঁরা সফিপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কয়েক মাস ধরে বসবাস করছিলেন।

কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিতাসের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য গুহ। এ সময় তিতাসের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সফিপুর বাজার এলাকায় আপন নিবাস নামের একটি বাড়ির গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ করছিলেন। এ সময় আপন নিবাসের তৃতীয় তলা থেকে একটি ব্যাগ নিচে পড়ে। ওই ব্যাগের ভেতর থেকে তিন হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী মানিক হোসেন ও তাঁর ভাবি সুমাইয়া রহমান ওরফে স্বর্ণাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুমাইয়া স্বামী আলিফ হোসেন পলাতক।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, তিন মাস ধরে গ্রেপ্তার দুজন ও পলাতক ব্যক্তি ওই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থেকে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। আশপাশে পুলিশ দেখে মাদকের ব্যাগ ছুড়ে ফেলে দেন। গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্ধ্যার দিকে তাঁদের ফ্ল্যাটে আবার তল্লাশি চালিয়ে একটি এসির ভেতর থেকে আরও ১৭ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সাতটি মামলা রয়েছে।

কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য গুহ জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০টি রাইজার ও ২৫০টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সেখানে ছয়জন অবৈধ গ্রাহককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানের সময় মাদকসহ দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।