৪১ পদের মসলায় ভুনা করে বানানো ‘রসুন আচারি’ ঝালমুড়ি

নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপায় রনি রাহিমের ‘রসুন আচারি’ ঝালমুড়ি খেতে ভিড় করেন অনেকেছবি: প্রথম আলো

খোসাসহ আস্ত রসুন ৪১ পদের মসলা দিয়ে ভুনা করা হয়। সেই রসুন দিয়ে ‘রসুন আচারি’ ঝালমুড়ি তৈরি করা হয়। সুস্বাদু এ ঝালমুড়ি খেতে ভিড় জমে যায়। রসুন আচারি ঝালমুড়ি ছাড়াও মুরগির মাংসের আচারি ঝালমুড়ি, হাঁসের মাংসের চুইঝাল ঝালমুড়িসহ ছয় পদের মুড়ি বিক্রি করেন রনি রাহিম।

নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা রেললাইন মসজিদ এলাকায় রনি রাহিমের ঝালমুড়ির দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঝালমুড়ি বিক্রি করেন তিনি।

রসুন আচারি ঝালমুড়ি প্রতি প্লেট ৩০ টাকা, মুরগির মাংসের রসুন আচারি ঝালমুড়ি ৭০ টাকা, ডিমের ঝালমুড়ি ৪০ টাকা, মুরগির গিলা-কলিজার ঝালমুড়ি ৩০ টাকা, চুইঝাল দিয়ে হাঁসের মাংসের ঝালমুড়ি ১২০ টাকা, শুধু চুইঝালের ঝালমুড়ি ৪০ টাকা, খাসির মাংসের ঝালমুড়ি বিক্রি করেন ১২০ টাকা প্রতি প্লেট। তবে হাঁস আর খাসির মাংসের ঝালমুড়ি প্রতি বৃহস্পতিবার বিক্রি করেন রনি রাহিম।

বাহরাইন থেকে দেশে ফিরে এসে সাত বছর ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন রনি রাহিম
ছবি: প্রথম আলো

রনি রাহিম দীর্ঘদিন বাহরাইনপ্রবাসী ছিলেন। দেশে ফিরে এসে সাত বছর ধরে ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ‘চারপাশে সবাই একই ধরনের ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। ছোটবেলায় মা আমাদের বাড়িতে আচার দিয়ে নানা পদের মুড়ি বানিয়ে খাওয়াতেন। ঝালমুড়ি বানানোর হাতেখড়ি মায়ের কাছে। মায়ের ঝালমুড়ির পদের সঙ্গে আরও কয়েকটি পদ যুক্ত করেছি। আমার ঝালমুড়ি খেতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, ভালো লাগে।’

চার বছর ধরে রনি রাহিমের কাছ থেকে ঝালমুড়ি খান গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা অন্তর সাহা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, এই ঝালমুড়ি খেতে সুস্বাদু।

হৃদয় আহমেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘সচরাচর সবাই পেঁয়াজের সঙ্গে মসলা দিয়ে ঝালমুড়ি বানান। কিন্তু রনি রাহিমের বানানো ঝালমুড়িতে আচারসহ মুখরোচক বিভিন্ন পদ থাকায় খেতে মজাদার। কোয়ালিটিও অন্য রকম। অনেক সময় বাড়িতে নিয়ে যাই।’

রনি রাহিমের দাবি, মানসম্মত জিনিস দিয়ে মসলা তৈরি করেন তিনি। এ কারণে লোকজন তাঁর কাছ থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ঝালমুড়ি কিনে খান।