উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেনছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য নিয়োগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষকেরা বলছেন, দীর্ঘসময় নিয়মিত উপাচার্য না থাকায় রুয়েটের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

উপাচার্য নিয়োগ ছাড়াও শিক্ষকদের অন্য দুটি দাবি হলো পদোন্নতির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও যোগ্যতা প্রাপ্তির তারিখ থেকে শিক্ষকদের পদোন্নতি।

রুয়েটের সাধারণ শিক্ষকদের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর ১ বছর ৩ মাস অতিবাহিত হলেও আর কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটের ৮০ জনের বেশি শিক্ষক পদোন্নতির জন্য সব শর্ত পূরণ করে অপেক্ষমাণ অবস্থায় আছেন।

মো. ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা বিভাগের প্রধানদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যকে একাধিকবার বিষয়গুলো সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এ অবস্থায় আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।’

কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আওয়াল, তড়িৎ যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক সারাফাত হোসেন, ফাইসাল রহমান, গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সাদাত সায়েম, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রভাষক বখতিয়ার খলজি প্রমুখ।

রুয়েটের সাবেক উপাচার্য রফিকুল ইসলাম সেখের মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ৩০ জুলাই। এর এক দিন পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রুয়েটের ফলিতবিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন সাজ্জাদ হোসেনকে রুয়েটের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য করা হয়। এর পর থেকে তিনিই রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

নিয়ম অনুযায়ী রুয়েটের শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কোনো প্রকৌশলী উপাচার্য হতে পারবেন। কিন্তু সাজ্জাদ হোসেন প্রকৌশলী নন। তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তিনি এত দিন ধরে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।