হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র

হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান
ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান এবারও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু দল তাঁকে দেয়নি। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সংসদ সদস্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম আহমেদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এ বিষয়ে আবদুল মজিদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আমার দুই উপজেলার দলীয় নেতা-কর্মী, ইউনিয়ন ও উপজেলার সব জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বসেছিলাম। সবার এক বাক্যে দাবি, আমি যেন নির্বাচন করি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই। সে কারণে আমিও মনে করি আমার প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই।’

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ এবার দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। তিনি এখনো মনোনয়নপত্র নেননি। তবে গতকাল তাঁর ছোট ভাই গাজী মোহাম্মদ শাহেদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ বলেন, তাঁর ভাই একক সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এটি তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নেওয়া গাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘নেত্রী সবার জন্য এবারের নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। সেই হিসেবে আমিও প্রার্থী হব।’

হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ) আসন থেকে এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন টানা তিনবারের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির। তাঁর এ আসনে গতকাল মনোনয়নপত্র তুলেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) আবদুল মুনিম চৌধুরী। জাপা নেতা বলেন, দল এ আসন থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি খুশি। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে পাননি সৈয়দ সায়েদুল হক। গতকাল তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন।

হবিগঞ্জের চারটি আসনে গতকাল পর্যন্ত ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী, মনোনয়নবঞ্চিত সংসদ সদস্যের ভাই, বিএনএম, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।