ছয় বিঘা আয়তনের একটি পুকুর ইজারা নিয়ে মাছের চাষ শুরু করেছিলেন তিন বেকার তরুণ। পুকুরে মাছের পোনা ছাড়া ও পরিচর্যা বাবদ পাঁচ লাখ টাকা খরচও করেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তাঁদের পুকুরে বিষ দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে এক রাতেই শেষ হয়ে গেছে তাঁদের স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বর্ণী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ওই তিন যুবক হলেন উপজেলার বর্ণী গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন (৩২), রফিকুল ইসলাম (২৫) ও আশিকুর রহমান (২১)। এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় তাঁরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের দাবি, তিন মাস আগে বর্ণী গ্রামের আবদুল আওয়ালের ছয় বিঘা পুকুর তিন বছরের জন্য ছয় লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে তাঁরা মাছের চাষ শুরু করেন। পুকুরে রুই, কাতলা, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন জাতের দেড় লাখ টাকার মাছের পোনা ছেড়েছেন। খাবারসহ পরিচর্যা বাবদ ইতিমধ্যে পাঁচ লাখ টাকা খরচও হয়েছে তাঁদের। আজ সোমবার সকালে পুকুরে গিয়ে মরা মাছ ভাসতে দেখেন। একই সময় পুকুরের পানিতে বিষযুক্ত দ্রব্যের আলামত দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব মাছ মরে ভেসে ওঠে। একই সঙ্গে তাঁদের স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়।
পুকুরের মালিক আবদুল আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আবদুর রহিম (৪২) পুকুর ইজারা নিতে চেয়েছিলেন। তাঁকে ইজারা না দেওয়ায় হুমকি দিয়েছিলেন। এ ঘটনার জেরে তিনি বিষ দিতে পারেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুর রহিম বলেন, ‘আওয়ালের সঙ্গে পুকুর ইজারা নেওয়া নিয়ে আমার মামলা চলছে। এ জন্য আমাকে সন্দেহ করছে। কিন্তু আমি এ ধরনের কোনো কাজ করিনি।’
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।