যমুনায় জালে ধরা পড়ল ২০ কেজির শুশুক

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়া গাঙ্গেয় শুশুক। রোববার বিকেলে উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নের নৌকাঘাট এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের গাঙ্গেয় শুশুক। আজ রোববার বিকেলে জেলেরা শুশুকটি উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নের নৌকা ঘাট এলাকায় বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। এ সময় এক মৎস্য ব্যবসায়ী তিন হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন এটি।

শুশুকটি বিক্রি করতে নিয়ে আসেন স্থানীয় জেলে আবদুল মজিদ। শুশুকটির ওজন ২০ কেজির বেশি জানিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুশুকের তেল বেশ দামি। যে কারণে শুশুকেরও অনেক দাম। তবে আমাদের এলাকায় এমন শুশুক সব সময় বিক্রি হয় না। তাই এখানে এর বাজারমূল্য অনেক কম।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি দীপক কুমার প্রথম আলোকে বলেন, বিপন্নপ্রায় প্রাণী শিকার বন্ধ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও যমুনায় অবাধে শুশুক শিকার করছেন জেলেরা। এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে ন্যূনতম কাজ করছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। ফলে মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষের অজ্ঞতায় নির্বিচার শিকার করা হচ্ছে বিরল প্রজাতির উপকারী সব প্রাণী। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিপন্নপ্রায় শুশুক শিকার করা যাবে না। এসব বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বিপন্নপ্রায় প্রাণী রক্ষায় আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

শুশুক উপকারী ও নিরীহ প্রাণী। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ডলফিনজাতীয় এই প্রাণীকে বলা হয় উপকূলীয় প্রতিবেশের প্রহরী। এ ছাড়া নদীতে দূষণের পরিমাণ কেমন, তা ডলফিনের অবস্থা ও সংখ্যা দেখে অনুমান করা যায়। শুশুকের প্রধান খাদ্য মাছ। সাধারণত গাঙ্গেয় শুশুক বেশি দেখা যায় দুটি নদীর মিলনস্থল, নদীর বাঁক ও গভীর অংশে। এগুলো দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের হয়।