চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক ফেনীতে উদ্ধার

নবজাতকপ্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৩২ নম্বর নবজাতক ওয়ার্ড থেকে চুরি হওয়া পাঁচ দিন বয়সী নবজাতকটিকে ফেনী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ফেনীর পরশুরাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার সকালে উদ্ধার করা মেয়ে নবজাতকটিকে মা–বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। নবজাতকটিকে আবারও চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চুরি যাওয়া নবজাতকের মায়ের নাম আসমাউল হোসনা। বাবার নাম মো. নোমান। তাঁদের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার আদুনগর এলাকায়। নগরের একটা বেসরকারি হাসপাতালে নবজাতকটির জন্ম হয়। পরে তার শ্বাসকষ্ট থাকায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

নবজাতক চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন মা ও মেয়ে। তাঁরা হলেন নাছিমা বেগম ও হারু আকতার। তাঁরা তাঁদের অসুস্থ একটি নবজাতককে মেডিকেলের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়েছিলেন। সেখানে ওই শিশুটিকে রেখে তাঁরা অন্য একটি শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যান।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা বলেন, নবজাতক চুরির অপরাধে মা-মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হাসপাতালে তাঁদের অসুস্থ নবজাতককে রেখে আসমাউল ও নোমান দম্পতির নবজাতকটি নিয়ে গতকাল দুপুরে পালিয়ে যান।

হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সঠিক কাগজপত্র দেখিয়ে নবজাতকদের হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান অভিভাবকেরা। কিন্তু এরপরও হিসাব করে ওয়ার্ডে একটি নবজাতক অতিরিক্ত পাওয়া যায়। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এই নবজাতক কারা এনেছেন, তা শনাক্ত করা গেলেও হাসপাতালে তাঁদের পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাঁদের কথা অসংলগ্ন মনে হয়। ফোনের অবস্থান নির্ণয় করে রাতে ফেনী থেকে নবজাতকটি উদ্ধার ও মা–মেয়েকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া নবজাতকটির বাবা মো. নোমান বলেন, ‘ওই মা-মেয়ে তাঁদের একটা বাচ্চা নিয়ে একই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের বাচ্চাটির ওজন মাত্র ৭০০ গ্রাম। বেশি অসুস্থ ছিল শিশুটি। ওই বাচ্চা রেখে কৌশলে আমার বাচ্চা নিয়ে চলে যান তাঁরা।’