আমতলীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০

নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় আহত ব্যক্তিদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে
ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ছয়জনকে বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে আমতলী পৌর শহরের নিজকাটা এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

আমতলী পৌর নির্বাচনের মেয়র পদে মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান ও হ্যাঙ্গার প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মতিয়ার রহমান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জয়–পরাজয় নিয়ে গতকাল রাতে মোবাইল প্রতীকের সমর্থক সবুজ খান ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে হ্যাঙ্গার প্রতীকের সমর্থক রাসেদ খান ও তাঁর পরিবারের কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে সবুজ খানের লোকজন রাসেদ খানের বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার আধা ঘণ্টা পর রাসেদ খান লোকজন নিয়ে সবুজ খানের লোকজনের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুই পক্ষের নারী–পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

স্থানীয় লোকজন আহত শহীদুল খান, রেহেনা, ইলিয়াস, লাইজু, জাকির খান, লিজা, খাদিজা, সালেহা, বশির খান, সাফিয়া, নাজমুল খান, রিজিয়া, রাসেদ ও রবিন খানকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ইলিয়াস, লাইজু, জাকির খান, বশির খান, শহীদুল ও রেহেনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালে পাঠানো হয়।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত নাজমুল খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সবাই একই বংশের লোক। নির্বাচনের জেরে রাসেদ খান ও তাঁর লোকজন আমাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে।’ তবে রাসেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হয়ে সবুজ খান (মতিয়ারের সমর্থক) আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আজ সকালে সবুজের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন আমার ঘর ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। বাধা দিলে আমাকে ও আমার বাবা–মাকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি চাই।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।