অপহরণের পর মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা, ৬ দিন পর লাশ উদ্ধার

অপহরণের পর হত্যার শিকার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফ হাসান
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহরণের শিকার এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মারুফ হাসান (১২)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মারুফের মরদেহ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি বাজারের একটি বিপণিবিতানের সেপটিক ট্যাংক থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করেন।

৫ এপ্রিল মারুফকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণ না পাওয়ায় শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অপরকারীরা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত মারুফ হাসান উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। সে সলঙ্গা থানাধীন একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা বলেন, মারুফের বাবা ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়ায় তাঁরা মারুফকে হত্যা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসার পর ৫ এপ্রিল একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র মারুফকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার বাবা ছেলেকে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ওই দিনই তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর পুলিশ ও র‍্যাব-১২ সদস্যরা প্রযুক্তির সহায়তায় মারুফকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা চালাতে থাকেন।

অপহরণের ঘটনা যেদিনের, সেদিন র‍্যাব-১২-এর একটি দল অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তাঁরা হলেন আবুল হাশেম আলী, রফিকুল ইসলাম, মো. আলামিন, মো. ওমর ফারুক ও মো. কায়সার হোসেন। র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা বলেন, মারুফের বাবা ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়ায় তাঁরা মারুফকে হত্যা করেছেন। তাঁদের তথ্য থেকেই মারুফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১২-এর অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন বলেন, ঘটনায় জড়িতদের আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।