লালপুরে আগুন লেগে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, তিন ঘণ্টা দুর্ভোগ

নাটোরে লালপুর উপজেলায় উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন আগুন লেগে বিকল হয়ে যায়। রোববার সকাল ১০টার দিকে আব্দুলপুর রেল জংশনে
ছবি: প্রথম আলো

নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর রেল জংশনে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন আগুন লেগে বিকল হয়ে গেলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

আজ রোববার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা একটার দিকে অন্য একটি ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেনটি রাজশাহীতে পাঠানো হয়।

চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে যাচ্ছিলেন ট্রেনটির যাত্রী আজিজুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় সকাল সোয়া ১০টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা আবদুলপুর স্টেশনে বসে ছিলেন। এ কারণে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালকের সহকারী আশিকুর রহমান বলেন, ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

আবদুলপুর রেলস্টেশন ও উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন সূত্রে জানা যায়, উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকালে পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ইঞ্জিন ঘোরানো ও যাত্রী ওঠানামার জন্য সকাল ১০টা ১০ মিনিটে আবদুলপুর জংশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ায় ট্রেনটি। এ সময় ইঞ্জিনে আগুন ধরে গেলে ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আগুননিরোধক পাউডার ব্যবহার করা হলে আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর প্রায় তিন ঘণ্টা বিকল হওয়া ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি আবদুলপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। বেলা একটার দিকে বিকল্প একটি ইঞ্জিন এসে ট্রেনটি নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিকল ইঞ্জিনটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ট্রেনের লোকজন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী হকার সান্টু প্রামাণিক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেনটি আবদুলপুর স্টেশনে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায় এবং কালো ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে যায়। তখন যাত্রী ও প্ল্যাটফর্মে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সবাই দ্রুত ইঞ্জিনের কাছ থেকে সরে যান।

এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, অন্য ট্রেনগুলো যথারীতি চলাচল করছে। তবে এ ঘটনায় ট্রেনটির যাত্রীরা সাময়িক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।