চাঁদাবাজদের উদ্দেশে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, ‘এনাফ ইজ এনাফ’

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরিতে নদী পাড়ি দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকেছবি: এম রাশেদুল হক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান বলেছেন, ‘কোরবানির পশুবাহী গাড়ি থেকে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের উদ্দেশে একটা কথাই বলব, এনাফ ইজ এনাফ, অনেক হয়েছে। দয়া করে এসব বন্ধ করুন।’ ফরিদপুর থেকে সাভারে যাওয়ার পথে আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আবদুর রহমান বলেন, পশুবাহী গাড়িতে কোথাও চাঁদাবাজি হলে বা এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে।

এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুর রহমান দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাটে পৌঁছালে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরে একটি কে-টাইপ ফেরিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান রওনা দেন। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কোরবানির পশু বিক্রির হাটে নজরদারির জন্য এখানে একটি বিশেষ দল থাকবে। এখানে কোনো ধরনের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে প্রাণিসম্পদ বিভাগের নেতৃত্বে ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য এখানে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকব; যাতে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।

পদ্মা নদীতে অভয়াশ্রম গড়ে তোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রী আবদুর রহমান বলেন, গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে অভয়াশ্রম গড়ে তোলার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

এদিকে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, কোরবানির পশুবাহী ঢাকাগামী গাড়ি দ্রুত নদী পাড়ি দিতে ৩ নম্বর ফেরিঘাটকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা পশুবাহী গাড়ি কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই নির্বিঘ্নে নদী পাড়ি দিচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়ার সচল ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাটের যেকোনো ঘাট দিয়ে পশুবাহী গাড়ি পারাপার হচ্ছে। তবে ৩ নম্বর ঘাটটি কাছে হওয়ায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পশুবাহী গাড়ি পার করা হচ্ছে।