কক্সবাজারে ৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার
কক্সবাজার শহরের ঝিলংজা এলাকা থেকে ৩৫ হাজার ইয়াবা বড়িসহ পুলিশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ইয়াবা পাচারের সময় জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের (ডিএনসি) কর্মকর্তারা।
জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার মোগলটুরলা এলাকায়। তাঁর বাবার নাম আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি ঢাকা জজকোর্টে কর্মরত। মাদক পাচারে সহযোগিতার অভিযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শামসুল আলমকেও (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা বলেন, অটোরিকশাযোগে জাহাঙ্গীর আলম ইয়াবা চালান নিয়ে যাচ্ছেন—গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ খবর জানার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা এলাকায় পৌঁছে অটোরিকশাটি থামায়। এ সময় অটোরিকশার যাত্রী জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে দলের সদস্যরা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৩৫ হাজার ইয়াবা পান।
সিরাজুল মোস্তফা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কনস্টেবল মাদক পাচারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ঢাকা জেলা জজকোর্টে বদলি হওয়ার আগে তিনি (জাহাঙ্গীর) উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন। তখন তিনি ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়েন। বিকেলে গ্রেপ্তার দুজনকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করে মামলা করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট রাতে রামুতে ৭০ হাজার ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি। তিনি টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক ছিলেন। ওই দিন রাতে টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে কক্সবাজারে আসার পথে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মরিচ্যা বিজিবি চেকপোস্টে ৭০ হাজার ইয়াবা; ইয়াবা বিক্রির নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন আমজাদ হোসাইনকে রামু থানায় হস্তান্তর করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।