চট্টগ্রামে পাইকারির চেয়ে খুচরায় ২০ টাকা বেশি সবজির দাম
চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে সবজির দরদাম করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. সরওয়ার আহমেদ। তবে দরদামে না মেলায় সবজি বিক্রেতার ওপর বিরক্ত হচ্ছিলেন তিনি। সবজি না কিনেই মাছের বাজারের দিকে পা বাড়ালেন সরওয়ার। তখন কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
আজ শুক্রবার ছুটির দিনের সকালে বাজার করতে এসেছেন সরওয়ার। বাজার থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথে তাঁর বাসা। তাই বহদ্দারহাট বাজার থেকেই নিয়মিত কেনাকাটা করেন তিনি। সরওয়ার বলেন, বাজারে শীতের সব সবজি এসেছে। কিন্তু দাম কমার নাম নেই। ইচ্ছা থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় সব সবজি কেনা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামের খুচরা বাজারগুলোয় শীতের সবজির সরবরাহ থাকলেও বেশির ভাগ সবজির দাম এখনো ৫০ টাকার ওপরে। বাজারে শিম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ফুলকপি ৫৫ থেকে ৬৫, গাজর ৬০ থেকে ৬৫, টমেটো ৭০ থেকে ৮০, ঢ্যাঁড়স ৬৫ থেকে ৭৫, করলা ৫৫ থেকে ৭০ এবং লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তবে পাইকারি পর্যায়ে দেশি শিম ও টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৩০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদারেরা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার ফারুক শিবলী বলেন, টমেটো ও দেশি শিম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ক্রেতা কমেছে পেঁয়াজের বাজারে
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করার পর গত শনিবার দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ সরবরাহ হওয়ার পর চট্টগ্রামে কমতে থাকে পেঁয়াজের দাম।
আজ চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১২০ এবং ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ১৬০ টাকা।
তবে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই পাইকারি আড়তগুলোয় ক্রেতা কমেছে। আড়তদারদের দাবি, দেশি পেঁয়াজের যে সরবরাহ তা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। আর চট্টগ্রামে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদাই বেশি। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর বাজারে ক্রেতাসংখ্যাও কমেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ বলেন, সরবরাহ না বাড়লে বাজারে ক্রেতাসংখ্যা বাড়বে না। কয়েকটি আড়তে অল্প পেঁয়াজ আছে। দেশি অথবা আমদানি যেটাই হোক, সরবরাহ বাড়লে চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ পাওয়া যাবে বাজারে।