রাজশাহীতে ঘুরে ঘুরে খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করবে ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার
ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যপণ্য পরীক্ষার পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল জানানোর লক্ষ্যে রাজশাহী বিভাগের জন্য একটি ‘ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার’ চালু করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর তাঁর কার্যালয়ে এটির উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে ভোক্তারা নিজেদের আনা খাদ্য নমুনাও বিনা মূল্যে পরীক্ষার সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। তিনি জানান, দিনে পরীক্ষাগারটি যেখানে দরকার, সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। আর রাতে রাখা হবে রাজশাহী সার্কিট হাউসে। রাজশাহীর বাইরের কোনো জেলায় সর্বোচ্চ দুই দিন পর্যন্ত এ পরীক্ষাগার রাখা যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প থেকে ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর দায়িত্বে থাকবেন জেলার নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা। কোন দিন বিভাগের কোন জেলায় এ পরীক্ষাগার থাকবে, সেটির একটি সূচি মাসের শুরুতেই তৈরি করা হবে। রাজশাহী ছাড়া বিভাগের অন্য কোনো জেলায় পরীক্ষাগারটি একবার গিয়ে দুই দিনের বেশি থাকবে না। দিনে প্রয়োজনীয় স্থানে পরীক্ষাগারটিকে নিয়ে যাওয়া হবে আর রাতে রাখা হবে সার্কিট হাউসে।
এ বিষয়ে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন জানান, যেসব এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়, সেখানে এই পরীক্ষাগার নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল জানানো হবে। কোথাও খাদ্যপণ্যে ভেজাল পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা ধ্বংস করা হবে। পাশাপাশি ওই সব খাদ্যপণ্য কেনা থেকে বিরত রাখতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হবে।
ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটির উদ্বোধনের আগে আজ সকালে বিভাগীয় কার্যালয়ে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সাল মাহমুদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আনোয়ারুল কবীর, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মাহমুদুল ফারুক, বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন প্রমুখ।