অন্যকে দিয়ে লিখিয়ে পরীক্ষায় পাস, মৌখিকে এসে ধরা

লিখিত পরীক্ষায় তাঁদের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন অন্যজন। সেই পরীক্ষায় পাসও করেছেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসেছেন নিজেরাই। তথ্যের অমিল থাকায় বিষয়টি সন্দেহ হয় পরীক্ষকদের। পরে ধরা পড়ে প্রতারণার বিষয়টি। চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য সহকারী পদে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা এমন তিন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক তিন পরীক্ষার্থী হলেন বাঁশখালীর মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী, চন্দনাইশের মো. জাবেদ এবং লোহাগাড়ার রনি দাশ। তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এই তিনজন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন ‘ভাড়া করা’ পরীক্ষার্থী দিয়ে। মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসেছেন আসল পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার প্রবেশপত্রে ছবি পরিবর্তন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের সময় বিষয়টি সন্দেহ হলে তাঁদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিরা মূল পরীক্ষার্থী। তবে তাঁদের হয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন অন্য তিনজন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁদের কোতোয়ালি থানায় দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে ৩ মে চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজ কেন্দ্রে একই পদে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সময় আবদুর রউফ মিয়া (২৮) নামের এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা প্রশাসন। ওই দিন তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত।