রাজশাহীতে দুই বছরের শিশু ৩০ ফুট গভীর গর্তে, ফায়ার সার্ভিস অক্সিজেন দিচ্ছে

রাজশাহী তানোরে গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুকে উদ্ধারের জন্য যন্ত্র দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস গর্তের ভেতর অক্সিজেন সরবরাহ করছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার কোয়েল হাট গ্রামেছবি: প্রথম আলো

গর্তটি প্রায় ৩০–৩৫ ফুট গভীর। সেই গর্তে পড়ে গেছে দুই বছরের শিশু সাজিদ। কীভাবে শিশুটি পড়েছে, তা কেউ বলতে পারছে না। শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর তানোরে। শিশুটির নাম সাজিদ। বাবার নাম রাকিব। বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে।

স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থার মধ্যে কোয়েলহাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না, সেটা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। সেই গর্ত ভরাটও করেছিলেন, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গর্তের ভেতরে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু করেছেন। বিকেল চারটার দিকেও তাঁরা বলছেন, শিশুটির সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

ঘটনাস্থল থেকে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, গর্তটির মুখ ৩–৪ ফুট চওড়া। গভীরতা ৩০–৩৫ ফুট হতে পারে। বেলা একটার দিকে এই গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। তারপর উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। গর্তের ভেতরে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। শিশুটি অক্সিজেন নিচ্ছে এবং সাড়া দিচ্ছে বলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানিয়েছেন।