কুমারখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত যুবকের মৃত্যু

কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত এক যুবক মারা গেছেন। আজ রোববার ভোর সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামের ওই যুবক নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খানের সমর্থক ছিলেন। তরিকুলের মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড় ভাই তারিকুল ইসলাম।

২১ মে বিকেলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গণনার সময় কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ কলোনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন তরিকুল ইসলাম। তিনি জয়নাবাদ মণ্ডলপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে। ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। হামলার ঘটনায় ২৩ মে নিহত যুবকের বড় ভাই তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে কুমারখালী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ২১ মে ভোটের দিন সকাল থেকেই জয়নাবাদ কলোনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আধিপত্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। ভোট গণনার সময় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা তরুণের ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম জিলানী মোর্শেদের সমর্থক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মান্নান খানের সমর্থকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে তরিকুল ইসলাম, তাঁর বড় ভাই তারিকুল ইসলাম, রাশেদ ও নাজিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তরিকুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।

তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পেছনে মদদদাতা আছে। তাকে চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মামলার প্রধান আসামিসহ মদদদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, মারা যাওয়ার বিষয়টি জেনেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নিহত যুবকের ভাই থানায় একটি মামলা করেছিলেন। তবে মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।