নদীভাঙন রোধে লক্ষ্মীপুরে বিশেষ মোনাজাত, এলাকাবাসীর কান্না

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেন এলাকবাসী। শুক্রবার সকালে চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে বিশেষ দোয়া–মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকায় উদ্যোগে এ আয়োজন করে কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ।

মোনাজাতে অংশ নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা নদীভাঙন থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করে দোয়া–মোনাজাত করেন। এতে এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া পরিচালনা করেন কমলনগর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন। এ সময় কমলনগর উপজেলা পরিষদের কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সংগঠনটির উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক সাত্তার পালোয়ান বলেন, ‘জোয়ারে স্বজনদের কবরে পানি উঠতে দেখে আমাদের কলিজা ফেটে যায়। আমার মায়ের পাশে আমাকে কবর দেওয়ার জন্য বলে রেখেছি। কিন্তু নদীর তীর রক্ষা বাঁধ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভাঙনে সব বিলীন হয়ে যাবে। এ জন্য নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেতে আমরা আল্লাহর কাছে হাত তুলেছি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩১ কিলোমিটার নদীতীর রক্ষা বাঁধের জন্য ২০২১ সালে প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি। সে লক্ষ্যে কমলনগরের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় গত ৯ জানুয়ারি কাজের উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক। এরপর আর কাজ এগোয়নি।

সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। বালুসংকট ও বরাদ্দের টাকা ছাড় না পাওয়ায় তারা কাজ বন্ধ রেখেছে।

পাউবোর লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বালুসংকট ও বরাদ্দের টাকার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। বরাদ্দটি সি ক্যাটাগরি থেকে এখন বি ক্যাটাগরিতে আনা হয়েছে। এখন দ্রুত টাকা পাওয়া যাবে। খুব শিগগির কাজ শুরু করা হবে।