রাউজানে শোয়ার ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ
চট্টগ্রামের রাউজানে শোয়ার ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল এক গৃহবধূর লাশ। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সন্দ্বীপপাড়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত গৃহবধূর নাম রাশেদা বেগম (৪০)। তিনি ওই গ্রামের একসময়ের ওমানপ্রবাসী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের স্ত্রী। রাশেদা সন্দ্বীপ উপজেলার মুসাপুর গ্রামের মোস্তাফা কামালের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাশেদার স্বামী ইব্রাহিম একসময় ওমানপ্রবাসী ছিলেন। চার–পাঁচ বছরে আগে স্বামী দেশে চলে আসেন। এরপর তিনি কৃষিকাজ করে সংসার চালাচ্ছিলেন। তাঁদের সংসারে ১৪ বছর ও ৫ বছর বয়সী ২টি ছেলেসন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে পরিবার সূত্রে।
রাশেদার স্বজনদের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে রাশেদার নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। দুই-একবার স্ত্রী রাশেদাকে মারধরও করেন স্বামী ইব্রাহিম, যা নিয়ে ইউপি কার্যালয়ে এবং থানায় সালিসবৈঠক হয়।
তবে স্ত্রী রাশেদা অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলে দাবি করেন তাঁর স্বামী মুহাম্মদ ইব্রাহীম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রীর চার দিন ধরে পেটে ব্যথা হচ্ছিল, বমিও হয়েছে। তখন তিনি স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ নেন। পরে ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করান। এর মধ্যে আজ ভোরে আবারও পেটব্যথা ও বমি শুরু হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এর মধ্যে তিনি মারা যান।
হাসপাতালে কেন নেননি, জানতে চাইলে রাশেদার স্বামী ইব্রাহীম বলেন, তাঁর স্ত্রী হাসপাতালে যেতে রাজি হননি। স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।
জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনা জানার পর আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনার সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে ওই গৃহবধূর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’