নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তা ব্যারাজের উজানে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। আজ বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডালিয়া বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। আজ সকাল ছয়টায় পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সকাল নয়টায় ৫ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। এরপর দুপুর ১২টায় আবার পানি বেড়ে ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা তিনটায় পানি কিছুটা কমে ৮ সেন্টিমিটার নিচে নামে। সন্ধ্যা ৬টায় আবার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেলা তিনটায় ৫ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ছয়টায় ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত সোমবার বেলা তিনটায় সেখানে ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে।

এদিকে নদীর পানি বাড়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খলিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ১৫টি চরের গ্রামে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, তিস্তার পানি বাড়ায় তাঁর ইউনিয়নের পূর্ব ছাতনাই ও ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি উঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বিপৎসীমা অতিক্রম করার সঙ্গে বাড়িঘরে পানি ওঠার শঙ্কায় আছেন বাসিন্দারা।

পাউবোর ডালিয়া বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আজ সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার, সকাল নয়টায় ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার, বেলা তিনটায় ৫২ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা প্রথম আলোকে বলেন, উজানের ঢলে নদীর পানি কখনো বাড়ছে, আবার কখনো কমছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে।