এএসপির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি জানালেন নারী

প্রতীকী ছবি

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ, প্রতারণা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছেন জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এক নারী।

ওই নারী একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। ঢাকায় কর্মরত এই নারী আজ রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসপি নাজমুস সাকিব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি ভৈরবে থাকি আর সে ঢাকায়। কীভাবে তার সঙ্গে এমন সম্পর্ক হতে পারে? মামলার তদন্ত চলছে, তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তদন্তে যা হওয়ার তা-ই হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, ‘নাজমুস সাকিব আমার সঙ্গে বিয়ে নিয়ে নাটক করেছেন। এ নিয়ে নাজমুস সাকিবের নির্দেশে তাঁর পরিবার আমাকে হত্যাচেষ্টা চালায়। পরে আদালতে তাঁর (নাজমুস সাকিব) বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করি। সবশেষ বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের অভিযোগে গত ২০ মে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ মামলা করি। আদালত শাহবাগ থানা-পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’

ওই নারী বলেন, ২০২৩ সালের ১৯ জুন ফেসবুকে পাত্রী চাওয়ার একটি পোস্ট থেকে নাজমুস সাকিবের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সাকিব তখনো জানাননি তিনি বিবাহিত এবং তাঁর সন্তান রয়েছে। কিছুদিন পর জানতে পারেন, সাকিব একই সঙ্গে শিক্ষা ক্যাডারের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছেন।

পিবিআই প্রতারণা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন’ দিয়েছে জানিয়ে ওই নারী বলেন, সেই প্রতিবেদন তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এএসপি নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ করা মামলার তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘মামলাটি তদন্তাধীন। আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’