দ্বিতীয় ধাপের মোনাজাত আজ দুপুর ১২টার পর, ইজতেমার মাঠে যাচ্ছেন মুসল্লিরা
তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আজ বুধবার দুপুর ১২টার পর যেকোনো সময় হওয়ার কথা আছে। এ উপলক্ষে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের ইজতেমা মাঠে জড়ো হচ্ছেন মুসল্লিরা। এ ধাপেও মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জোবায়ের।
এর আগে আজ ফজরের নামাজের পর ভারতের শীর্ষ মুরব্বি মো. ফারুকের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তৃতীয় দিন বা শেষ দিনের ইজতেমার কার্যক্রম। তাঁর বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা আমানুল হক। এরপর নসিহতমূলক বয়ান অনুষ্ঠিত হবে। এ বয়ান শেষে দুপুর ১২টার পর যেকোনো সময় আখেরি মোনাজাতের কথা রয়েছে।
গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের শীর্ষ মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে যেকোনো সময় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এবারও দোয়া পরিচালনা করবেন মাওলানা জোবায়ের। প্রথম ধাপের মতো এ ধাপেও মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা মাঠে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার মুসল্লি।’
আজ সকাল ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, তুরাগ নদের তীরের ইজতেমা মাঠের বিশাল শামিয়ানার নিচে অবস্থান করছেন তাবলিগ জামাতের হাজারো মুসল্লি। শুধু ২২ জেলা ও ঢাকার একটি অংশের মুসল্লিরা অংশ নেওয়ায় মাঠের বিভিন্ন অংশ এখনো ফাঁকা। এর মধ্যে মাঠসংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া-টঙ্গীর মন্নুগেট সড়ক এবং ঢাকা-আশুলিয়া সড়কের প্রচুর মানুষের চলাচল দেখা যায়। অনেকেই মোনাজাতে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন ইজতেমা মাঠের দিকে।
এবারই প্রথম দুই ধাপে ইজতেমা পালন করছেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। এর মধ্যে গত সোমবার জোহরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমার কার্যক্রম। এ ধাপে অংশ নিচ্ছেন ২২ জেলা ও ঢাকার একাংশ। এর আগে গত শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ধাপের ইজতেমা। ওই ধাপে অংশ নিয়েছিলেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একটি অংশ। এরপর তৃতীয় ধাপে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা পালনের কথা আছে।
আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইজতেমায় আসা আরও দুই মুসল্লির মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন ইজতেমার গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। এই দুজন হলেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ এলাকার সুজাবত আলী (৭৫) এবং জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এলাকার মো. শামসুল আলম (৬০)। তাঁরা দুজনেই গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে বার্ধক্যের কারণে মারা গেছেন বলে জানা যায়। এ নিয়ে মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের দুই ধাপের ইজতেমায় মৃত মানুষের সংখ্যা হলো ৯।