২৪ ঘণ্টায়ও নেভানো যায়নি চট্টগ্রামের চিনির গুদামের আগুন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনিকলের গুদামের আগুন নেভানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আজ সকালে তোলাছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর তীরে এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানার চিনির গুদামে আগুন লাগার ২৪ ঘণ্টা পরও নেভানো যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল।

এদিকে, আজ বিকেলে এ ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা বলেছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এর আগে, সোমবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে অপরিশোধিত চিনির ওই গুদামে আগুন লাগে। আজ বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা ঘুরে জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দায়িত্ব বদল করে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনীও কাজ করছিল।

কর্ণফুলী থানার ইছানগরের এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার পাঁচটি গুদাম রয়েছে। প্রতিটি গুদামের ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে কারখানার ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। ঘটনার পর এস আলম কর্তৃপক্ষের লোকজন ও বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।

কারখানার কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার সময়ও কারখানা চালু ছিল। কারখানাটিতে প্রায় সাড়ে ৫০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। আগুন লাগার পর কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (কমার্শিয়াল)  মো. আকতার হোসেন বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে পুরোদমে উৎপাদনে ফিরবে কারখানাটি। একটি গুদামে আগুন লাগলেও আরও চারটি গুদাম আছে। তাই চিনির বাজারে এ ঘটনার প্রভাব পড়বে না।

তদন্ত কমিটির প্রধান এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগুন এখনো জ্বলছে। আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখছি। কারণ অনুসন্ধান করতে চেষ্টা করছি। ২-১ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারব।’

ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এখনো ১২টি ইউনিট কাজ করছে। তবে,  আগুন আর ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই।

এর আগে, গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় এস আলম গ্রুপের আরেকটি নির্মাণাধীন গুদামে আগুন লেগেছিল। তবে এতে কোনো হতাহত হয়নি। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।